গুগল একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সার্চ ইঞ্জিন যা ওয়েব ক্রলার নামে পরিচিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে যা আমাদের সূচীতে যোগ করার জন্য সাইটগুলি খুঁজে বের করার জন্য নিয়মিতভাবে ওয়েব অন্বেষণ করে। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের ফলাফলে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ সাইট ম্যানুয়ালি অন্তর্ভুক্তির জন্য জমা দেওয়া হয় না, কিন্তু আমাদের ওয়েব ক্রলাররা যখন ওয়েব ক্রল করে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যায় এবং যোগ করা হয়।
গুগল অনুসন্ধান মূলত তিনটি পর্যায়ে কাজ করে:
Crawling: গুগল ক্রলার নামক স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম দিয়ে ওয়েবে সার্চ করে, নতুন বা আপডেট করা পৃষ্ঠা খুঁজছে। গুগল সেই পৃষ্ঠার ঠিকানাগুলি (বা পৃষ্ঠার ইউআরএল) পরে দেখার জন্য একটি বড় তালিকায় সংরক্ষণ করে। আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি দ্বারা পৃষ্ঠাগুলি খুঁজে পাই, কিন্তু প্রধান পদ্ধতি হল সেই পৃষ্ঠাগুলির লিঙ্কগুলি অনুসরণ করা ।
Indexing: গুগল ক্রলিং করে যে পৃষ্ঠাগুলি সম্পর্কে শিখেছে তা পরিদর্শন করে এবং প্রতিটি পৃষ্ঠা কী তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে। পৃষ্ঠাটি কী তা বোঝার চেষ্টা করে গুগল পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু, চিত্র এবং ভিডিও ফাইল বিশ্লেষণ করে। এই তথ্য গুগল সূচকে সংরক্ষিত, একটি বিশাল ডাটাবেস যা অনেক কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকে।
Serving search results: যখন একজন ব্যবহারকারী গুগলে সার্চ করে, গুগল সর্বোচ্চ মানের ফলাফল নির্ধারণ করার চেষ্টা করে। “সেরা” ফলাফলের অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যেমন ব্যবহারকারীর অবস্থান, ভাষা, ডিভাইস (ডেস্কটপ বা ফোন) এবং আগের প্রশ্নগুলি।
উদাহরণস্বরূপ, “সাইকেল মেরামতের দোকান” অনুসন্ধান করলে প্যারিসের একজন ব্যবহারকারীর হংকংয়ের ব্যবহারকারীর চেয়ে ভিন্ন উত্তর দেখাবে। পৃষ্ঠাগুলিকে উচ্চতর র্যাঙ্ক করার জন্য গুগল পেমেন্ট গ্রহণ করে না এবং অ্যালগরিদম পদ্ধতিতে র্যাঙ্কিং করা হয়।
গুগল পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো টেক কোম্পানি এর মধ্যে অন্যতম। তাই গুগল এর এই ইনডেক্স করা ডাটা রাখা হয় গুগল এর দ্বারা চালিত ডাটা সেন্টার এ।
গুগল এর ঠিক কয়টা ডাটা সেন্টার আছে তা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ,২০১৬ এর হিসাব অনুযায়ী গুগল এর ডাটা সেন্টার এর সার্ভার এর সংখ্যা প্রায় ২.৫ মিলিয়ন। সারা পৃথিবী জুড়ে গুগল এর প্রায় ৩৭ এর উপর ডাটা সেন্টার ছড়িয়ে আছে যার মধ্যে আমেরিকাতেই আছে ১২টির বেশি।তাছাড়াও কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ড,ইংল্যন্ড, ব্রাজিল,প্যারিস ইত্যাদি দেশে।
এমন কি ইন্ডিয়ায় ও গুগলের একটি ডাটা সেন্টার আছে মুম্বাই তে।
আর এই ডাটা সেন্টার এর ধারন ক্ষমতা 470 exabytes এর বেশি। দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এইবার আসি অ্যালগরিদম আপডেটে কোথায় গুগোল যে অ্যালগরিদম গুলি আপডেট করে সেগুলি মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
রেগুলার আপডেট ,কোর এলগোরিদম আপডেট ও ব্রড কোর আলগোরিদিম আপডেট। এই আপডেট গুলির মধ্যে কোর এলগোরিদম আর রেগুলার এলগোরিদম গুলি প্রতিনিয়ত গুগল আপডেট করে থাকে কিন্তু এ ব্রড কোর এলগোরিদম আপডেট গুগল বছরে তিন থেকে চারবার করে থাকে। যদিও এর সঠিক কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে ব্রড কোর এলগোরিদম গুলি তার প্রভাব অনেক বেশি ফেলে।
বিগত কয়েকটি মাসে যদি গুগলের সার্চ রেজাল্ট চেক করা যায় তখন দেখা যাবে গুগোল দুইটি বড় বড় করে ব্রড কোর অ্যালগরিদম আপডেট জুন এবং জুলাই মাসে প্রকাশ করেছে যার ফলে পৃথিবী জুড়ে প্রায় সব ওয়েবসাইট তৈরি ট্রাফিক আর কিওয়ার্ড রাঙ্কিং কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে।
যেহেতু গুগল একটি সার্চ ইন্জিন । তাই এর কাজ হলো, ব্যবহারকারী কে তার কাঙ্খিত উওর দেওয়া। প্রতিদিন এই যে, এতো পরিমান সার্চ হয়।
প্রতিটি সার্চ অনুযায়ী গুগল যদি ,ওই সময় প্রতিটি ওয়েব সাইট ভিজিট করে ,ওই তথ্য আনতে যায় তাহলে তার অনেক বেশি সময় লাগবে। আর এই কারনেই , গুগল আগে থেকেই সকল ওয়েব সাইট এর ডাটা নিজের কাছে রাখে।বা নিজের ডাটাবেসে ইনডেক্স করে। এর ফলে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ব্যবহারকারীকে তার কাঙ্খিত রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিনিয়ত , মানুষের প্রতিটি প্রশ্নের উওর দিচ্ছে গুগল। কিন্ত গুগল কেনো এতো কিছু করছে? কিভাবে গুগল টাকা ইনকাম করে?
গুগল তো আমাদের কাছে কোন টাকা পয়সা নিচ্ছে না। তারে সার্চ রেজাল্ট দেখানোর জন্য। তো কিভাবে গুগল টাকা ইনকাম করে। আপনি কে কখনো খেয়াল করে দেখেছেন? আপনি কোন কিছু সার্চ করলে তার উপরের একটি অংশে ছোট করে লেখা থাকে ads। হ্যা , এই এ্যাডস থেকে গুগল টাকা ইনকাম করে। প্রতি সেকেন্ডে গুগলের ইনকাম $615 এর বেশি।
In my career, I’ve had the privilege to work in many different industries and for clients such as travel agencies, design agencies, IT companies, non-profits, and private clients.